সুলাইমান (আঃ) এর বাহিনী ও পিপীলিকার ঘটনা
حَتّٰىٓ إِذَآ أَتَوْا عَلٰى وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يٰٓأَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسٰكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمٰنُ وَجُنُودُهُۥ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
যখন তারা পিপীলিকার উপত্যকায় আসল তখন একটি পিপীলিকা বলল- ‘ওহে পিঁপড়ার দল! তোমাদের বাসস্থানে ঢুকে পড়, যাতে সুলাইমান ও তার সৈন্যবাহিনী তাদের অগোচরে তোমাদেরকে পদপিষ্ট ক’রে না ফেলে।
(সূরা আন নামলঃ-১৮)
আয়াতটির ব্যাখ্যাঃ
আল্লাহ তা‘আলা সুলাইমান (عليه السلام)-কে অনেক বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন, তন্মধ্যে এখানে দুটি উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যগুলো সূরা স্ব-দ-এর ৩০-৪০ নং ও সাবার ১২-১৪ নং আয়াতের তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে। (১) পক্ষীকুলকে সুলাইমান (عليه السلام)-এর অনুগত করে দেয়া হয়েছিল এবং তিনি তাদের ভাষা বুঝতেন। যেমন ১৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে। পক্ষীকুল তাঁর হুকুমে বিভিন্ন কাজ করত। সবচেয়ে বড় কথা এই যে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পত্র তিনি হুদহুদ পাখির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী ‘সাবা’ রাজ্যের রাণী বিলকীসের কাছে প্রেরণ করছিলেন। (২) পিপীলিকার ভাষাও তিনি বুঝতেন। যেমন ১৮-১৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, সুলাইমান (عليه السلام)-এর সেন্যবাহিনীর পদপিষ্ট হতে বাঁচার জন্য পিপীলিকা বাহিনীর প্রতি তাদের নেতার নির্দেশ শুনে তিনি হাসলেন। এসব ছিল সুলাইমান (عليه السلام)-এর প্রতি আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ। এত ক্ষমতা ও জীব-জন্তুর ভাষা বুঝতে পারা ইত্যাদি নেয়ামত পেয়েও তিনি কোনরূপ গর্ব-অহংকার করেননি। বরং তিনি আল্লাহ তা‘আলার কাছে এসব নেয়ামতের কৃতজ্ঞতার তাওফীক চেয়ে দু‘আ করলেন যাতে তিনি সৎ আমল করতে পারেন এবং আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সৎ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেনআমাদের আরো পোষ্ট পড়ুনঃ
- জুমু‘আর দিনে প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষের ওপর গোসল করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ
- সুলাইমান (আঃ) এর বাহিনী ও পিপীলিকার ঘটনা
- সুলাইমান (আঃ) এর জীবনে উল্লেখযোগ্য ৪টি ঘটনাবলী | ন্যায় বিচারের ঘটনা | পিপীলিকার ঘটনা | হুদহুদ পাখির ঘটনা | রাণী বিলকীসের ঘটনা
- রাসূল (সাঃ) জুম্মার নামাযে কোন রাকাতে কোন সূরা পড়তেন । জেনে নিন হাদিসের আলোকে
- মহান আল্লাহ তায়ালার শক্তি ও ক্ষমতা । আল্লাহ চাইলে সবই করতে পারেন।
- আল্লাহ বহু সংখ্যক জ্বীন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্যই সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন সেই হিদায়াত লাভ করে, আর যাকে পথভ্রষ্ট করেন তারাই হয় ক্ষতিগ্রস্ত।
Comments
Post a Comment