Posts

Showing posts from October, 2018

জুমু‘আর দিনে প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষের ওপর গোসল করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ

Image
জুমু‘আর দিনে  প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষের ওপর গোসল করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ আমরা অনেকেই জুমার দিনে গোসল করতে চাই না । আমরা অনেকে না জেনে এই ভূলটি করে থাকি । শুক্রবার দিনে নবীজী (সাঃ) গোসলের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন । তবে যদি কেউ কারণ বশত গোসল না করে, তাহলে কোন সমস্যা নেই । নিচে হাদিসে তা আমরা দেখতে পাব। তবে গোসল করা উত্তম। তো চলুন এ সম্পর্কে  হাদিস গুলো জেনে নিই। আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ জুমু‘আর সলাতে আসতে মনস্থ করলে সে যেন গোসল করে।  (সহীহ মুসলিম-১৮৩৬; ই.ফা. ১৮২১, ই.সে. ১৮২৮) আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা জুমু‘আর দিন ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখন ‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান (রাঃ) প্রবেশ করেন। ‘উমার (রাঃ) তার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, লোকদের কি হল যে, তারা আযানের পরও (মাসজিদে আসতে) বিলম্ব করে। ‘উসমান (রাঃ) বলেন, হে আমীরুল মু'মিনীন ! আমি আযান শোনার পর ওযূ করা ছাড়া অতিরিক্ত আর কিছু করিনি, অতঃপর এসে পৌছেছি। ‘উমার (রাঃ) বলেন, ওযূও ...

রাসূল (সাঃ) জুম্মার নামাযে কোন রাকাতে কোন সূরা পড়তেন । জেনে নিন হাদিসের আলোকে

Image
জুমু‘আর দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি পাঠ করতেন   রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কখনো জুমআর নামাযের প্রথম রাকাতে “সূরা জুমুআ” এবং দ্বিতীয় রাকাতে “সূরা মুনাফিকুন” পড়তেন।  কখনো “সূরা মুনাফেকুন” এর বদলে  “সুরা গাশিয়াহ” পড়তেন। আবার কখনো প্রথম রাকাতে “সূরা আলা” এবং দ্বিতীয় রাকাতে “সূরা গাশিয়াহ” পড়তেন। উবায়দুল্লাহ ইবনু আবূ রাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ মারওয়ান আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ)-কে প্রশাসক নিয়োগ করলেন ..... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে অধস্তন বর্ণনাকারী হাতিম (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে, তিনি প্রথম রাক‘আতে সূরাহ্‌ আল জুমু‘আহ্‌ এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে “ইযা- জা-আকাল মুনাফিকূন” (সূরা আল মুনাফিকূন) পাঠ করেন। ‘আবদুল আযীয (রহঃ)-এর রিওয়ায়াতে সুলায়মান ইবনু বিলাল (রহঃ)-এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ।  (সহিহ মুসলিম ১৯১২; ই.ফা. ১৮৯৭, ই.সে. ১৯০৪)   নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ ঈদের সলাতে ও জুমু‘আর সলাতে “সাব্বিহিস্‌মা রব্বিকাল আ’লা-“ ও “হাল আতা-কা হাদীসুল গ-শিয়াহ্‌” সূরাদ্বয় পাঠ করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঈদ ও জুমু‘আহ্‌ এক...

ইনশা আল্লাহ তায়ালা না বলার ফলাফল

Image
ইনশা আল্লাহ তা‘আলা না বলার ফল: সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এ বিষয়ে বর্ণিত ঘটনার সারমর্ম এই যে, একবার সুলাইমান (عليه السلام) এ মনোভাব ব্যক্ত করলেন যে, রাত্রিতে আমি (আমার ৯০ বা ১০০) সকল স্ত্রীর সাথে মিলিত হব। যাতে প্রত্যেকের গর্ভ থেকে একটি করে পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে ও পরে তারা আল্লাহ তা‘আলার পথে ঘোড় সওয়ার হয়ে জিহাদ করবে। কিন্তু এ সময় তিনি ইনশা আল্লাহ তা‘আলা (যদি আল্লাহ তা‘আলা চান) বলতে ভুলে যান। নাবীর এ ত্র“টি আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করলেন না। ফলে মাত্র একজন স্ত্রীর গর্ভ থেকে একটি অপূর্ণাঙ্গ ও মৃত শিশু ভূমিষ্ট হয়। (সহীহ বুখারী হা: ২৮১৯) এর দ্বারা বুঝানো হয়েছে, সুলাইমান বিশ্বের সর্বাধিক ক্ষমতাসম্পন্ন বাদশাহ হলেও এবং জিন, বায়ু, পক্ষীকুল ও সকল জীবজন্তু তাঁর হুকুমবরদার হলেও আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা ব্যতীত তার কিছুই করার ক্ষমতা ছিল না। তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়ে বলেন: (وَلَا تَقُوْلَنَّ لِشَیْءٍ اِنِّیْ فَاعِلٌ ذٰلِکَ غَدًاﭦ اِلَّآ اَنْ یَّشَا۬ئَ اللہُ) “কখনই তুমি কোন বিষয়ে বল না, “আমি সেটা আগামীকাল করব, ‘আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে’ এ কথা বলা ছাড়া’’...

সুলাইমান (আঃ) এর জীবনে উল্লেখযোগ্য ৪টি ঘটনাবলী | ন্যায় বিচারের ঘটনা | পিপীলিকার ঘটনা | হুদহুদ পাখির ঘটনা | রাণী বিলকীসের ঘটনা

Image
সুলাইমান (عليه السلام)-এর জীবনে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী: (১) ন্যায় বিচারের ঘটনা: মেষপাল ও ক্ষেতের মালিকের মাঝে বিবাদের মীমাংসায় পিতার চেয়ে ন্যায়ভাবে বিচার করা ও দু’ মহিলার সন্তানের ব্যাপারে ন্যায় বিচার করার ঘটনা সূরা আম্বিয়ার ৭৮-৮২ নং আয়াতের তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে। (২) পিপীলিকার ঘটনা: একদা সুলাইমান (عليه السلام) তাঁর বিশাল সেনাবাহিনীসহ একটি এলাকা অতিক্রম করছিলেন। ঐ সময় তাঁর সাথে জিন, মানুষ ও পক্ষীকুল ছিল। যে এলাকা দিয়ে তাঁরা যাচ্ছিলেন সে এলাকায় বালির টিবি সদৃশ পিপীলিকাদের বহু বসতঘর ছিল। সুলাইমান (عليه السلام)-এর বাহিনীকে আসতে দেখে পিপীলিকার সর্দার শীঘ্র বাসস্থানে প্রবেশের নির্দেশ দিল যাতে বাহিনীর পদপিষ্ট হতে না হয়। (৩) হুদহুদ পাখির ঘটনা: আল্লাহ তা‘আলার হুকুমে পক্ষীকুল সুলাইমান  এর আনুগত্য লাভ করে। একদিন পক্ষীকুলকে ডেকে একত্রিত করেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। তখন দেখতে পেলেন যে, হুদহুদ পাখিটি নেই। তিনি যখন হুদহুদ পাখিকে দেখতে পেলেন না তখন সবাইকে সম্বোধন করে নিজের দিকে ইঙ্গিত করে জিজ্ঞেস করলেন, আমার কী হল যে, আমি হুদহুদ পাখিকে দেখতে পাচ্ছি না? (অর্থাৎ দোষ-ত্র“টি অন্যের দিকে সম্পৃক্ত না ক...

সুলাইমান (আঃ) এর বাহিনী ও পিপীলিকার ঘটনা

Image
حَتّٰىٓ إِذَآ أَتَوْا عَلٰى وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يٰٓأَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسٰكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمٰنُ وَجُنُودُهُۥ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ যখন তারা পিপীলিকার উপত্যকায় আসল তখন একটি পিপীলিকা বলল- ‘ওহে পিঁপড়ার দল! তোমাদের বাসস্থানে ঢুকে পড়, যাতে সুলাইমান ও তার সৈন্যবাহিনী তাদের অগোচরে তোমাদেরকে পদপিষ্ট ক’রে না ফেলে। (সূরা আন নামলঃ-১৮) আয়াতটির ব্যাখ্যাঃ আল্লাহ তা‘আলা সুলাইমান (عليه السلام)-কে অনেক বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন, তন্মধ্যে এখানে দুটি উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যগুলো সূরা স্ব-দ-এর ৩০-৪০ নং ও সাবার ১২-১৪ নং আয়াতের তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে। (১) পক্ষীকুলকে সুলাইমান (عليه السلام)-এর অনুগত করে দেয়া হয়েছিল এবং তিনি তাদের ভাষা বুঝতেন। যেমন ১৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে। পক্ষীকুল তাঁর হুকুমে বিভিন্ন কাজ করত। সবচেয়ে বড় কথা এই যে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পত্র তিনি হুদহুদ পাখির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী ‘সাবা’ রাজ্যের রাণী বিলকীসের কাছে প্রেরণ করছিলেন। (২) পিপীলিকার ভাষাও তিনি বুঝতেন। যেমন ১৮-১৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, সুলাইমান (عليه السلام)-এর সেন্যবাহিনীর পদপিষ্ট হতে বাঁচার জন্য ...

মহান আল্লাহ তায়ালার শক্তি ও ক্ষমতা । আল্লাহ চাইলে সবই করতে পারেন।

Image
أَنِ اقْذِفِيهِ فِى التَّابُوتِ فَاقْذِفِيهِ فِى الْيَمِّ فَلْيُلْقِهِ الْيَمُّ بِالسَّاحِلِ يَأْخُذْهُ عَدُوٌّ لِّى وَعَدُوٌّ لَّهُۥ ۚ وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّى وَلِتُصْنَعَ عَلٰى عَيْنِىٓ ‘যে, তুমি তাকে সিন্দুকের মধ্যে রাখ, তারপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও [১] যাতে দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেয় [২], ফলে তাকে আমার শত্রু ও তার শত্রু নিয়ে যাবে [৩]। আর আমি আমার কাছ থেকে আপনার উপর ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম [৪], আর যাতে আপনি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হন [৫]। (সূরা ত্বহাঃ-৩৯) এই আয়াতটি তাফসীরঃ [১] ফির’আউন তার সিপাহীদেরকে ইসরাইলী নবজাতক শিশুদেরকে হত্যা করার আদেশ দিয়ে রেখেছিল। তাই সিপাহীদের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য তার মাতাকে ওহীর মাধ্যমে বলা হল যে, তাকে একটি সিন্দুকে রেখে দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও এবং তার ধ্বংসের আশংকা করো না। আমি তাকে হেফাজতে রাখব এবং শেষে তোমার কাছেই ফিরিয়ে দেব। [ইবন কাসীর] [২] আয়াতে এক আদেশ মূসা আলাইহিস সালাম-এর মাতাকে দেয়া হয়েছে যে, এই শিশুকে সিন্দুকে পুরে দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও। দ্বিতীয় আদেশ নির্দেশসূচকভাবে দরিয়াকে দেয়া হয়েছে যে, সে যেন এই সিন্দুককে তীরে নিক্ষেপ ...

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নূরের তৈরি ও ফেরেশতা নন এবং গায়েবও জানতেন না, শুধু আল্লাহ তা‘আলা ওহীর মাধ্যমে যতটুকু তথ্য দিতেন ততটুকুই জানতেন।

Image
قُل لَّآ أَقُولُ لَكُمْ عِندِى خَزَآئِنُ اللَّهِ وَلَآ أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَآ أَقُولُ لَكُمْ إِنِّى مَلَكٌ ۖ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحٰىٓ إِلَىَّ ۚ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى الْأَعْمٰى وَالْبَصِيرُ ۚ أَفَلَا تَتَفَكَّرُونَ বল, আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন-ভান্ডার আছে, আর আমি অদৃশ্যের খবরও জানি না। আর আমি তোমাদেরকে এ কথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা, আমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয় তাছাড়া (অন্য কিছুর) আমি অনুসরণ করি না। বল, অন্ধ আর চোখওয়ালা কি সমান, তোমরা কি চিন্তা করে দেখ না? (সূরা আল আনআমঃ-৫০)  আয়াতের তাফসীর:  আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিচ্ছেন, তুমি বলে দাও যে, আমি দাবী করি না যে, আমার কাছে আকাশমণ্ডলী ও জমিনের ধন-ভাণ্ডার রয়েছে। ফলে আমি যেভাবে ইচ্ছা তা ব্যয় করব। আমি এও দাবী করিনা যে, আমি অদৃশ্যের খবর জানি এবং আমি একজন ফেরেশতা। বরং আল্লাহ তা‘আলার কাছেই রয়েছে গায়েবের সকল জ্ঞান। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَعِنْدَه۫ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَآ إِلَّا هُوَ) “ গায়েবের সকল চাবিকাঠি তাঁরই নিকট রয়েছে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ ...

মহান আল্লাহকে পৃথিবীতে দেখা সম্ভব কিনা ? মূসা (আঃ) এর সাথে পাহাড়ে কি ঘটেছিল, জানুন বিস্তারিত

Image
وَلَمَّا جَآءَ مُوسٰى لِمِيقٰتِنَا وَكَلَّمَهُۥ رَبُّهُۥ قَالَ رَبِّ أَرِنِىٓ أَنظُرْ إِلَيْكَ ۚ قَالَ لَن تَرٰىنِى وَلٰكِنِ انظُرْ إِلَى الْجَبَلِ فَإِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهُۥ فَسَوْفَ تَرٰىنِى ۚ فَلَمَّا تَجَلّٰى رَبُّهُۥ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُۥ دَكًّا وَخَرَّ مُوسٰى صَعِقًا ۚ فَلَمَّآ أَفَاقَ قَالَ سُبْحٰنَكَ تُبْتُ إِلَيْكَ وَأَنَا۠ أَوَّلُ الْمُؤْمِنِينَ মূসা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে আসল, আর তার রব তার সঙ্গে কথা বললেন, তখন সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখা দাও, আমি তোমাকে দেখব’। তিনি বললেন, ‘তুমি আমাকে কক্ষনো দেখতে পাবে না, বরং তুমি পাহাড়ের দিকে তাকাও, যদি তা নিজ স্থানে স্থির থাকতে পারে তাহলে তুমি আমাকে দেখতে পাবে।’ অতঃপর তার প্রতিপালক যখন পাহাড়ে নিজ জ্যোতি বিচ্ছুরিত করলেন, তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল আর মূসা চৈতন্য হারিয়ে পড়ে গেল। যখন চেতনা ফিরে পেল, তখন সে বলল, ‘পবিত্র তোমার সত্ত্বা, আমি অনুশোচনা ভরে তোমার পানেই ফিরে এলাম, আর আমি প্রথম ঈমান আনছি।’ (সূরা আরাফঃ-১৪৩) আয়াতটির বিস্তারিত তাফসীর দেখুনঃ মূসা (আঃ) আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে চাইলে আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আঃ)-কে বললেন: ...

আল্লাহ কোথায় আছেন? পূর্ব পশ্চিম মহান আল্লাহ্‌রই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ করো না কেন, সেদিকেই আছে মহান আল্লাহ্‌র চেহারা। মহান আল্লাহ সুবিস্তৃত, সর্বজ্ঞ।

Image
clouds وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ ۚ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ وٰسِعٌ عَلِيمٌ পূর্ব পশ্চিম মহান আল্লাহ্‌রই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ করো না কেন, সেদিকেই আছে মহান আল্লাহ্‌র চেহারা। মহান আল্লাহ সুবিস্তৃত, সর্বজ্ঞ । (সূরা আল বাকারাঃ- ১১৫) ১১৫ নং আয়াতের তাফসীর: শানে নুযূল: এ আয়াতের শানে নুযূল সম্পর্কে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। ইবনু কাসীর, তাবারী, কুরতুবীতে এ আয়াতের শানে নুযূল সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা বিদ্যমান। সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য বর্ণনা হল- ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কা থেকে মদীনায় আগমন করে বাহনের ওপর নফল সালাত আদায় করছিলেন। আর বাহন তখন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিকে মুখ ঘুরে চলছিল। অতঃপর ইবনু উমার (রাঃ) (وَلِلّٰهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ....) অত্র আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন এবং বললেন এ ব্যাপারে এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৬৪৪-৪৫, ১৬৫০) অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা পূর্ব ও পশ্চিম দু’দিককে নির্দিষ্ট করে উল্লখ করেছেন যা উদয় ও অস্তাচল। তিনি এ দু’দিকসহ সকল দিকের মালিক। অতএব সাল...

নবীজী (সাঃ) কখন কখন দাত ব্রাশ বা মিসওয়াক করতেন। আমার উম্মাতের জন্য যদি কষ্টসাধ্য না হতো, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে প্রত্যেক সলাতের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।

Image
Brush আজকে আপনাদের সামনে ৩টি হাদিস উপস্থাপন করব । যে হাদিস গুলো থেকে আপনারা সহজে অনুধাবন করতে পারবেন যে, নবীজী (সাঃ) কখন ও কিভাবে মিসওয়াক করতেন এবং এই মিসওয়াক এর গুরুপ্ত কতটুকু। তো চলুন শুরু করা যাক।   আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিনদের জন্যে এবং যুহায়র-এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, আমার উম্মাতের জন্য যদি কষ্টসাধ্য না হতো, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে প্রত্যেক সলাতের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।  (সহীহ মুসলিম-৪৭৭; ই.ফা. ৪৮০; ই.সে. ৪৯৬) মিকদাম-এর পিতা শুরায়হ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরে ঢুকে সর্বপ্রথম কোন্‌ কাজটি করতেন? তিনি বললেন, সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন।  ( সহীহ মুসলিম-৪৭৮;  ই.ফা. ৪৮১; ই.সে. ৪৯৭) হুযাইফাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাহাজ্জুদের জন্যে উঠতেন তখন মিসওয়াক দ্বারা ঘষে মুখ পরিষ্কার করতেন।  ( সহীহ মুসলিম-৪৮১;  ই.ফা.৪৮৪; ই.সে. ৫০০) মহান আল্লাহ তায়...

আল্লাহ বহু সংখ্যক জ্বীন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্যই সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন সেই হিদায়াত লাভ করে, আর যাকে পথভ্রষ্ট করেন তারাই হয় ক্ষতিগ্রস্ত।

Image
Jahannam Fire  নিচে আল-কোরআন থেকে ২ টি আয়াতের তাফসীর নেয়া হয়েছে। এ আয়াত ২টি থেকে আমাদের সবার অনেক কিছু শেখার আছেঃ আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন সেই হিদায়াত লাভ করে, আর যাকে পথভ্রষ্ট করেন তারাই হয় ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা আরাফঃ- ১৭৮) আমি বহু সংখ্যক জ্বীন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি, তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে দেখে না, তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে শোনে না, তারা জন্তু-জানোয়ারের মত, বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট, তারা একেবারে বে-খবর। (সূরা আরাফঃ- ১৭৯) ১৭৮-১৭৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা‘আলা যাকে হিদায়াত দান করেন সে-ই হিদায়াত প্রাপ্ত আর যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন হিদায়াতকারী নেই। পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত। অতএব আল্লাহ তা‘আলা যদি হিদায়াত না দেন তাহলে কোন পীর ওলী আওলীয়া, মুরশিদ, গাউস, কুতুব, বাবা ইত্যাদি হিদায়াত দিতে পারে না। স্বয়ং রাসূলই পারেন না আর কোথায় এসব ব্যক্তিরা! আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (إِنَّكَ لَا تَهْدِيْ مَنْ أَحْبَبْتَ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَا۬ءُ ج وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِيْنَ)‏ “তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎ ...